A Poetic Praise

Pt. Sanjoy Bandopadhyay gave a sitar solo recital at his workplace Rabindra Bharati University. The program was arranged on February 26, 2012 at the Uday Shankar Hall at Emerald Bower Campus to observe the sesquicentennial birthday celebration of Swami Vivekananda. Professor Bandopadhyay played Shudh-Sarang and a dhun based on the Tagore song ‘Megher kole rod hesechhe..’ ..  The recital received very warm appreciations from the audiences.. Sanjoyjee’s colleague Dr. Bidyut Kanti Chaudhury, who is a natural poet and gives outlets to his expressions through poems, could not retain himself and immediately grabbed a piece of worn out paper and wrote a few lines. Later he gave it to Panditjee in a fresh new piece of paper.. We liked the poetry and take the opportunity to share with you.. the poetry by Dr. Bidyut Kanti Chaudhury on Pt. Sanjoy Bandopadhyay..

৬০ পেরিয়ে

৬০ পার করাটা অনেক চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত আটকানো গেলনা| কুষ্ঠিতে ছিলনা তাও পৌঁছেই গেলাম|এগার বছর বয়সেই সটকে যাবার কথা ছিল, তার জায়গায় ষাট! অতএব এ পর্যন্ত ৪৯ বছর ফাউ| ফাউ সবারই ভালো লাগে, সত্যি বলতে কি আমারও অল্প অল্প লাগে| জন্মদিনের দুদিন আগে জানতে পারলাম আমার শ্রীমতীজী কিছু একটা ফাঁদছেন, টের পেলাম উনি ছাত্র-ছাত্রীদের সাথেও কথাবার্তা বলছেন| ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে ওঠার পরই তাড়াতাড়ি ইউনিভার্সিটি থেকে ঘরে ফেরার ফরমান জারী হল|

বিকেল সাড়ে-চারটে নাগাদ বাড়ী ফিরে দেখি সাবির সেই বর্ধমান থেকে আমার আগেই হাজির| এরপর আস্তে আস্তে অন্যরাও হাজির হল| ত্রৈলী সেই হাওড়া থেকে সাবির এর পর-পরই চলে এল | একটু পর ঢুকল সুমেধা| এর মাঝে সাবির আর অনির্বান টুক করে গাড়ী নিয়ে বেরিয়ে গিয়ে কিছু বিশালাকায় পাত্রে খাবার নিয়ে চলে এসেছে| নভনীল, বাড়ীতে শোকের পরিবেশ থাকা সত্তেও, অল্প সময়ের জন্য চলে এসেছিল| ওকে পেয়ে আমাদের খুব ভাল লেগেছিল| সন্ধে গড়িয়ে গেলে এল দীপঙ্কর, অনুশ্রী আর তাদের ছোট্ট মিষ্টি মেয়ে| মাঝে বনুদি আর অঞ্জনদা| একটু রাত করেই দিলীপ আর সপরিবার পরিমল ঢুকল| সবশেষে এল সুজু, অরুন আর পুকলাই| ওরা যখন এলো তখন পার্টি বেশ জমজমাট| অনির্বাণ সরোদ নিয়ে বাজনার ঘরে বাজিয়ে চলেছে| মাঝের বড় ঘরে গান, হাসাহাসি, কবিতা| আর মা’র ঘরে অঞ্জনদা, বনুদি আর পরে জুড়ল আমার মেয়ে মিম্মাই| সেখানেও চলছে নানা মজার মজার গল্প-গুজব| আর অন্য ঘরগুলো? সেখানে ঢাই করা জিনিস-পত্র, প্রয়োজনে আমরা সেখানে গিয়ে কাজ করে বেরিয়ে আসছি| সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত খুশীর মেজাজ| শব্দ নানা ধরনের হলেও তাতে ঠোকাঠুকি নেই| চলুক না আলাদা স্কেলে সরোদ আর গান| গানের পেছনে মৃদু সরোদের আওয়াজ, কখনও বা রান্নাঘর থেকে বাসনের শব্দ, সব আওয়াজই যেন মিলেমিশে খুশীর ছবি এঁকে চলেছে| ওই ছবিই কিছুটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি এই ছোট্ট ভিডিও তে| পার্টি যখন শেষ হল তখন আমার গিন্নির জন্মদিন ১৭ সেপ্টেম্বর ছুঁয়ে পরের দিন সকাল দু’টো!

আমরা সবাই মিস করলাম সুবীর, কর্নজিত, আয়ুষ, রাজরূপা, সুহাস, বিট্টু আর কুশলকে| কেউ বা ষ্টুডিও-তে আটকা, কেউ বা সেদিনই বিদেশ পারি দিল, কেউ আছে দেশের বাইরে বা কারুর বাড়ীতে পুজো| আর মিস করেছি তরাই, দেবাশিস আর তুলুকে|

 ঐদিন তোলা অল্প কিছু ছবি এই ছোট্ট এলবামে রাখা রইল|