ফিরে দেখা

First posted on May 5, 2014 by sitardivine

জমাটি লেখা পড়তে ভালোবাসি, কিন্তু হঠাৎ করে লিখতে বসে যাব কখনো ভাবিনি|আসল কথাটা বলি শুনুন, সে সব বলতে গেলে অনেক কথা এসে ভীড় করে| বেশ ক’বছর হোল আমাদের পাড়ার অনুষ্ঠানের স্মারিকায় আমার একটা লেখা ছেপেছিল| বিপদের শুরু সেখান থেকেই| সত্যিটা হচ্ছে, লেখাটা আমি লিখিইনি! অবাক হলেন? সে কথা না হয় পরে কখন খোলসা করে বুঝিয়ে বলব| কিন্তু ঘটনা যেটা ঘটল তা হোল সেটি পড়ে অনেকেই, বাংলায় যাকে বলে, ইম্প্রেসড হয়ে গেলেন| তখন থেকে অনেকেই বলছেন কিছু লেখা বাংলায় লিখে ফেলতে| আমি লিখতে চাইনা, হাতের লেখা দেখলে কাকেরাও লজ্জা পায়| আমি টাইপ করি| এতদিনে বাংলায় লেখার, থুড়ি, টাইপ করার একটা যুতসই ব্যবস্থা করা গেল| অতএব লেখা শুরু|
সময় ব্যাপারটা গোলমেলে, মনে হয় অনেকটাই ভাবনার সাথে জড়ান| বেশ কয়েক বছরের পুরানো ঘটনা কখনো মনে হয় ‘এই তো সেদিন’ আবার কখনও কতদিন আগের|কিছু থাকে ঝকঝকে আর কিছু কেমন যেন ধুলো পড়ে ধুলোটে| আমি গান-বাজনাতে বেঁচেছি, এতেই জেগেছি, স্বপ্নে মজা করে শুনেছি| সেতারকে ভালবাসার অনেক ‘ট্যাক্সো’ আছে; দিয়েছি| এনাকে বোঝা আর বাগে আনার মধ্যে বিস্তর দুরত্ব| যদি বা কোনক্রমে কথা শুনতে শুরু করেন তারপর তাকে দিয়ে গল্প বলানো বা ছবি আঁকান, সে’ত যেনতেন কাজ নয়| আমি ভাবছিলাম সে-সব কথাই কিছুটা আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করব|
একটা ছোট্ট কথা বলে নিই| আমার চরিত্র চিরকালই কিছুটা বেয়াড়া ধরনের| ভক্তি-শ্রদ্ধা নিয়ে চিরকালই অভাব অনটন| সোজাসুজি মেনে নেওয়ার ক্ষমতাই ছিলনা, বোধহয় এটা কোন ম্যানুফ্যাকচারিং ডিফেক্ট| নিজের মত করে বুঝে নেবার একটা তীব্র প্রচেষ্টা, যাতে স্বাভাবিক কারণেই বয়স্কদের অসভ্য না ভাবার কোনো কারণ ছিলনা| কিন্তু কিচ্ছু অজানা কারণে এতসব অবগুণ থাকা সত্যেও সবাই সহ্য করতেন| একটা কারণ বোধহয় আমাকে বোঝাতে শেখাতে বড়দের তেমন কোন বেগ পেতে হতনা| ওস্তাদজী বলতেন, “ছোঁড়ার আর যাই থাক, না বোঝার ব্যামোটা নেই|”

ছায়াচিত্র : রাখী ব্যানার্জী০৭  মে ২০১৪